স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পরিচয় দাও ৷অথবা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সম্পর্কে টীকা লিখ ।অথবা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সম্পর্কে লিখ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পরিচয় :
উত্তর : ভূমিকা :
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ব জনমতকে দেশের অনুকূলে আনার চেষ্টা করা হয়। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী বাংলাদেশে পাকবাহিনীর চাপানো যুদ্ধ, এ যুদ্ধের ভয়াবহতা, গণহত্যা, শরণার্থীদের স্রোত, সরকার গঠন, বিভিন্ন তৎপরতা প্রভৃতি সম্পর্কে বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ ও জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এর পরিচয় :
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্রই স্বাধীন বাংলা বেতার কে ন্দ্র নামে পরিচিত হয়।
বস্তুত চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় এবং এ কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পাকবাহিনী রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট প্রভৃতি বেতার কেন্দ্রসমূহ
বন্ধ করে দেয়।
২৬ মার্চ দুপুর ২.৩০ মিনিটে জনাব এম এ হান্নান (চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক) আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
কিন্তু আগ্রাবাদে অবস্থিত বেতার কেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গরকারী যুদ্ধ জাহাজের শেলিং আওতার মধ্যে থাকায় বেতার কেন্দ্রটি কালুরঘাট ট্রান্সমিশন সেন্টারে স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট থেকে চট্টগ্রাম বেতারের কালুরঘাট ট্রান্সমিশন সেন্টার থেকে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের’ কর্মতৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এখান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সম্পর্কিত ঘোষণার বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করেন আবুল কাসেম সন্দ্বীপ। এরপর মূল ইংরেজি ভাষণ পাঠ করেন ওয়াপদার তৎকালীন প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম।
এরপর জনাব আব্দুল হান্নান এ বেতার কেন্দ্র থেকেই আবারো স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বেতারে প্রচার করেন। (বেলাল মোহাম্মদ; ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পৃ.৩৩)। ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান পুনরায় এ কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রচার করেন ।
উপসংহার :
পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অবদান ছিল সুদূরপ্রসারী। এ বেতার কেন্দ্রের কর্মীগণ সাড়ে সাত কোটি মুক্তিকামী বাঙালির মনোবলকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য দিবারাত্র কাজ করেছেন। তাদের ক্ষুরধার প্রচার মুক্তিযুদ্ধকে আলাদা গতি দান করে। এ বেতার কেন্দ্রের একেকটি শব্দ ইথার ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে একেকটি বুলেট হয়ে। এ বেতার কেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা দিয়ে, শক্তি দিয়ে, সাহস দিয়ে, দিশেহারা মুক্তিকামী বাঙালিকে বিজয়ের স্বর্ণদ্বারে পৌঁছে দিয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস pdf :
দয়া করে ১০ সেকেন্ড সময় ধরে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষন এর মধ্যে আপনাকে ডাউনলোড পেইজ এ নিয়ে যাওয়া হবে। আপনাকে নিয়ে যাওয়ার পর আপনাকে হবে এই পেইজে ডাউনলোড লিংক দেওয়া হবে তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
ধন্যবাদ। আরো অন্যান্য বই গুলো নেওয়ার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র: স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের শখ ও সংগীতের জনশক্তির প্রতি আবেগ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র (Swadhin Bangla Betar Kendra) একটি ঐতিহাসিক অংশ, যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একধারণের সংগীত ও সংবাদ সারথি হিসেবে অমর হয়েছে।
১. উৎপত্তি ও উদ্দীপনা
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১৯৭১ সালে অস্ত্রোপক্ষের হামলা ও পাকিস্তানের সামরিক আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া থেকে স্বাধীন হতে উত্তরন্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চিরস্থায়ী করতে সক্রিয়ভাবে যোগদান করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
২. সংগীতে জনশক্তির প্রশিক্ষণ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের জনশক্তির সংরক্ষণে ও উন্নত করে তুলতে। এখানে সংগীতের মাধ্যমে জনগণকে উৎসাহিত করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য শৌর্য ও বিশাল শখের প্রতি।
৩. স্বাধীন সংবাদের নেতৃস্থান
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্থাপিত হয়েছিল স্বাধীন সংবাদের নেতৃস্থান হিসেবে। এখানে প্রতিনিয়ত সংবাদ ও তথ্য সারথি হিসেবে কাজ করছিল, যা বিশেষভাবে যুদ্ধ ক্ষেত্রের ঘটনার সঠিক চিত্রণ ও প্রতিবেদন করত।
৪. অনুষ্ঠানের ভূমিকা
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলার জনগণকে জাগরুক করতে নানা সময়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করে, যেগুলি সংগীত, কবিতা, আলোচনা এবং বিভিন্ন চেতনা মুক্তি সম্পর্কে জানোয়ার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করত।
৫. স্থায়ী প্রভাব
এর স্থায়ী প্রভাব গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৬. জনগণের সহানুভূতি এবং যোগাযোগ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে উভয় স্থানীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটি অবস্থান তৈরি করেছে, যারা সকল ঘটনা এবং সময়ের সাথে সংবাদ পেতে অত্যন্ত আগ্রহী। এটি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এক নজরে রাখে।
৭. ভোরের আলো এবং সন্ধ্যার শৃঙ্গার
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তার “ভোরের আলো এবং সন্ধ্যার শৃঙ্গার” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগীত, কবিতা, ও বিশেষভাবে সমাচার সংবাদ প্রকাশ করে, জনগণকে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত এবং সংবাদ সরবরাহ করে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ও বিশ্বের ঘটনার প্রচুর তথ্য সরবরাহ করা হয়, যা জনগণকে সুসংবাদিত এবং সচেতন রাখে।
৮. সাহিত্যিক অবদান এবং সাংস্কৃতিক মেলান
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতি বছর সাহিত্যিক অবদান এবং সাংস্কৃতিক মেলানের আয়োজন করে, যেখানে বিখ্যাত সাহিত্যিক, কবি, সংগীতশিল্পী এবং শিল্পকলার্থী অংশ নেয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিল্প-সাহিত্য প্রতিষ্ঠানগুলির সম্মাননা এবং উৎসাহিত করা হয়, এবং বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার-প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
৯. অনুভূতি অনুষ্ঠান এবং স্মৃতির সৃষ্টি
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অনুভূতি অনুষ্ঠান আয়োজন করে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অসমর্থন, যুদ্ধে আপনার সঙ্গীত ও কবিতা, এবং সাধারণ মানুষদের সমর্থনের মাধ্যমে যুদ্ধের প্রতি অনুভূতি তৈরি করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহানুভূতি ও সমর্থনের মৌল্যবোধ হয়, যা তাদের বীরত্ব এবং অসমর্থনে সহানুভূতির অসীম প্রতীতি তৈরি করে।
১০. প্রশাসনিক সহায়কারী
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি অমিল ভূমিকা পালন করে এবং এখানে প্রশাসনিক কাজের সহায়কারী হিসেবে কাজ করে। কেন্দ্রটি মুক্তিযুদ্ধের অসমর্থনে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এবং তার কারণে কেন্দ্রটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা সাথে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদার সম্পর্ক তৈরি করেছে।
১১. প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক অবদান
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অবদানের দিকে বিশেষভাবে ভূমিকা রয়েছে বাণিজ্যিক দিকে। এটি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য ব্যবসায়িক কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করে এবং প্রযুক্তিগত এবং সাংবিদানিক উন্নতি করে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পথে একটি অমিল উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং রাষ্ট্রের সাধারণ মানবিক উন্নতির জন্য সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
১২. সম্মানিত আওয়ামী লীগের যোগদান
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সম্মানিত আওয়ামী লীগের একটি অবদানশীল সংস্থা হিসেবে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। এটি পূর্ব পাকিস্তানের দ্বিধাৰা পরাজিত বাঙালি জনগণের প্রতি সমর্পিত হয়ে তাদের স্বাধীনতা চিহ্নিত করার জন্য যোগদান করে।
১৩. সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলির নেতৃত্ব
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকমন্ডলের সম্মানিত নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নতির দিকে অবদান রয়েছে। এটি শিক্ষকদের সমর্থন ও উন্নতির জন্য উৎসাহিত করে এবং শিক্ষার্থীদের একটি সুস্বাস্থ্য এবং উন্নত শিক্ষা প্রদান করার জন্য কাজ করে।
১৪. ভোকাল মাধ্যম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ভোকাল মাধ্যম হিসেবে জনগণকে সচেতন করতে বিশেষ অবদান রয়েছে, যা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং তথ্য প্রদান করে। এটি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণের মন্নাত এবং আলোচনা উৎসাহিত করতে সহায় করে, এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন সুচনা এবং অভিযোগ সংগ্রহ করা হয়।
১৫. পরিবারকে সংবাদ এবং বিনোদনের মাধ্যম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের পরিবারকে সংবাদ এবং বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে একত্রিত করে। এটি বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রা, সংগঠন, এবং তাদের সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আবদ্ধ থাকতে সাহায্য করে এবং তাদের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
১৬. জীবন্ত ইতিহাস এবং সাক্ষাৎকার
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নির্মিত ইতিহাসটি জীবন্তভাবে তুলে ধরতে সাক্ষাৎকার এবং নিজস্ব প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারগুলি অনুষ্ঠান করে। এটি দেশের এবং বিশ্বের ইতিহাসের সংগতি এবং প্রয়াসগুলি জনগণের সাথে ভাগ করতে সাহায্য করে এবং ইতিহাসের বিভিন্ন দিকে আলোচনা এবং মতামত প্রদান করে।
১৭. পরিবেশ সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিবেশ সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং এটি বাংলাদেশের সংরক্ষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জনগণকে সচেতন করে তুলতে প্রতিবদ্ধ। এটি সবচেয়ে সামর্থ্যশালী উদাহরণ হিসেবে একত্রিত হয়ে উঠে এবং পরিবেশের উন্নতির জন্য জনগণের সাথে সহযোগিতা করে।
১৮. অনুষ্ঠানগুলির অনলাইন প্রসার
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তার সকল অনুষ্ঠানগুলির অনলাইন প্রসার করে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে অনলাইন মাধ্যমে জনগণের সাথে সমর্থন করে। এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এবং বিশ্বের জনগণের কাছে সার্বজনীন জ্ঞান, সংবাদ, এবং বিনোদনের অভিজ্ঞান প্রদান করে।