মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর প্রধানদের নাম :
উত্তর : ভূমিকা : ১৯৭১ সালের ১১-১৭ জুলাই কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন জেনারেল আতাউল গণী ওসমানীসহ ১৪জন সামরিক অফিসার। এ সম্মেলনে কর্নেল আব্দুর রব সামরিক বাহিনীর চীফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার ডেপুটি চীফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টর বা রণাঙ্গনে বিভক্ত করে প্রত্যেক সেক্টরের জন্য সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয় । মুক্তিযুদ্ধের ৫টি সেক্টরের বর্ণনা : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সেক্টরগুলোর নেতৃত্বে বা কমান্ডে যারা ছিলেন তাদের নামসহ সেক্টরভুক্ত ৫টি এলাকার একটি তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হলো :
সেক্টর নং সেক্টর নং-১
সেক্টর এলাকা চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালী জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশ ।
সেক্টর কমান্ডার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ক) মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন)।
(খ) মেজর মোঃ রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর)।
সেক্টর নং-২ | ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ ।
(ক) মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)। (খ) মেজর এ.টি.এম. হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
সেক্টর নং-৩
আখাউড়া-ভৈরব রেল লাইন থেকে পূর্ব দিকের কুমিল্লা জেলার অংশবিশেষ।
ক) মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)। (খ) মেজর এ.এন.এম. নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
সেক্টর নং-৪
সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন থেকে পূর্ব ও উত্তর দিকের সিলেটের ডাইউকি সড়ক।
মেজর সি. আর. দত্ত।
সেক্টর নং-৫ সিলেটের ডাইউকি সড়ক থেকে সিলেট মেজর মীর শওকত আলী
জেলার পূর্ব-সীমা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ইস্ট-পাকিস্তান রাইফেলসের প্রায় ৯৪ হাজার বাঙালি নওজোয়ান, ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রায় ৩ হাজার নওজোয়ান ও ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ-আনসার মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ সুসংগঠিতভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা ছাড়াও জেড (Z) ফোর্স, এস (S) ফোর্স এবং ‘কে’ (K) ফোর্স নামে আরো তিনটি বাহিনী গঠন করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহ wiki