প্রশ্ন ॥২.০৮। একটি কোম্পানি কিভাবে বাজার বিস্তৃতি কৌশল পছন্দ করে?
উত্তর : ভূমিকা : বাজারজাতকরণ হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা কোম্পানিগুলো ক্রেতাদের জন্য ভ্যালু সৃষ্টি করে এবং বিনিময়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যালু অর্জনের লক্ষ্যে শক্তিশালী ক্রেতা সম্পর্ক তৈরি করে একটি কোম্পানি জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাজার বিস্তৃতি কৌশল পছন্দ করা :
- বাজার বিস্তৃতি কৌশল : একটি কোম্পানি কিভাবে বাজার বিস্তৃতি কৌশল পছন্দ করে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. পণ্য ক্যাটাগরিভিত্তিকবিস্তার : এ কৌশলে কোম্পানি পর্ণটিকে নির্দিষ্ট পণ্য ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ হিসাবে বাজারে অবস্থার গ্রহণ করে ও বাজার বিস্তার করে যেমন- ফেয়ারন্সে ক্রীমের ক্ষেত্রে ফেয়ার এন্ড লাভলী কে বিশ্বের ১নং বলা হয় ।
২. বৈশিষ্ট্যভিত্তিক : এ কৌশলে কোম্পানি পণ্যের কোন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দিয়ে ক্রেতার সামনে তুলে ধরে। যেমন- নকিয়া তার ১১০০ মডেল মোবাইল সেটের টর্চলাইট সংযোজন করেছে।
৩. প্রতিযোগীভিত্তিক : প্রতিযোগীভিত্তিক বিস্তার কৌশল গ্রহণে পণ্যটিকে প্রতিযোগী পণ্যের চেয়ে উৎকৃষ্ট হিসেবে অবস্থান দেয়া হয়। যেমন- ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ক্ষেত্রে Company সরাসরি IBM-এর সাথে তুলনা ব্যবহার করে ।
৪. মান বা মূল্যভিত্তিকর : এ ক্ষেত্রে কোম্পানি তার পণ্যের মান বা মূল্যের দিক থেকে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ভ্যালু প্রদানকারী পণ্য হিসেবে অবস্থান দেয়। যেমন- ক্রম মূল্যের দিক থেকে কংকা, র্যাংগস প্রভৃতি টিভির অবস্থানগ্রহণ যোগ্য, আবার মানের দিক থেকে সনি সর্বোচ্চ মানের।
৫. উপকারভিত্তিক : পণ্যের কোন একটি বিশেষ সুবিধা বা উপকারকে প্রাধান্য দিয়ে এক্ষেত্রে বিস্তার করা হয় ঐ উপকারের দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন- নিডো বাড়ন্ত বাচ্চাদের দৈহিক বৃদ্ধি জন্য খুবই উপকারি ।
৬. প্রয়োগ বা ব্যবহারভিত্তিক : এক্ষেত্রে কোন ব্যবহার বা প্রয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে পণ্যটিকে সর্বোচ্চ উৎকৃষ্ট হিসেবে তুলে ধরা হয়। যেমন- ফ্যাশন তৈরিতে সিঙ্গার সেলাই মেশিন অতুলনীয়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত কৌশলগুলোর মাধ্যমে একটি কোম্পানি তার বাজারকে বিস্তৃতি করতে পারে। বাজারজাতকরণের অতিগুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হলো বাজার বিস্তৃতি করা।