পৌরনীতি নাগরিকতাবিষয়ক সামাজিক বিজ্ঞান। নাগরিক জীবনের কার্যাবলি আলোচনা করাই হলো পৌরনীতির কাজ।
সামাজিক বিজ্ঞানের শাখাগুলোর মধ্যে পৌরনীতি নাগরিকের সবচেয়ে নিকটবর্তী ও বাস্তবে কার্যকর।
উন্নত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রয়োজনে পৌরনীতি পাঠ আবশ্যক।
প্রাচীন গ্রিসে প্লেটোর ‘Academy’ এবং অ্যারিস্টটলের ‘Lyceum’-এ জনগণকে ভবিষ্যৎ সুনাগরিক, প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় নেতা হিসেবে তৈরি করার জন্য পৌরনীতির জ্ঞান দান করা হতো।
জনগণ তাদের অধিকার, কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানার জন্য পৌরনীতি পাঠের প্রয়োজন অনুভব করে।
নাগরিক জীবনের আদর্শের সঙ্গে সমাজ, রাষ্ট্র ও অন্যান্য মানবীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়সাধনের জন্য পৌরনীতির পাঠ আবশ্যক।
প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে আলোচনা, পর্যালোচনা ও গবেষণার ফলে এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
রবার্ট ডাল (Robert Dhal) বলেন, “Politics is one of the unavoidable fact of human existence. Everyone is involved in some fashion at some time in some kind of political system.”
পৌরনীতি নাগরিকতাবিষয়ক বিজ্ঞান হিসেবে রাষ্ট্রের সব দিকের উপর আলোকপাত করে এবং নাগরিক জীবন সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা প্রদান করে বলে এর পাঠের আবশ্যকতা অনস্বীকার্য।
এখানে পৌরনীতি পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলো-
১। সুনাগরিক হওয়ার জন্য : সুনাগরিক হওয়ার জন্য পৌরনীতি পাঠ গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্র ও নাগরিকের পারস্পরিক সম্পর্ক অধিকার ও কর্তব্যের দ্বারা নির্ধারিত।
আর এ অধিকার ও কর্তব্য পালনের জন্য সর্বাগ্রে নাগরিকদের হতে হবে সুনাগরিক। কেননা, সুনাগরিক তার কর্তব্য সম্পর্কে থাকে সদা সচেতন। সুনাগরিকতার জন্য তিনটি গুণ দরকার;
তা হলো বুদ্ধিমত্তা ( Intelligence), আত্মসংযম (Self control) ও বিবেক (Conscience)।
পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে এগুলো বিকশিত হয়।
সুতরাং সুনাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ এবং অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার জন্য পৌরনীতি পাঠের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
২। নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে জানার জন্য : প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও
পৌরনীতির পাঠ ছাড়া এটি সম্পর্কে জানা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয়।
পৌরনীতি নাগরিকদের অধিকার-কর্তব্যসহ সব বিষয় সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করে। কীভাবে নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষিত হবে,
সমাজ ও রাষ্ট্রে নাগরিক কীভাবে তার ব্যক্তিস্বাধীনতা বজায় রাখবে তা পৌরনীতি পাঠে জানা যায়।
নাগরিকগণ প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও শিক্ষা লাভ করেই সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।
সুতরাং, পৌরনীতির জ্ঞান থাকা প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য।
৩। স্বদেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য : প্রত্যেক নাগরিককে সত্যিকার স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পৌরনীতি পাঠ আবশ্যক।
কেননা, একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিকের কর্মকাণ্ডের উপর।
দেশপ্রেমিক নাগরিকরা রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ।
পৌরনীতির জ্ঞান নাগরিককে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দেশের জন্য ত্যাগী হতে শেখায় ।
তাই দেশ ও জাতির স্বার্থেই পৌরনীতি পাঠ আবশ্যক। দেশপ্রেমিক নাগরিক সর্বদা রাষ্ট্রের কল্যাণ চিন্তা করে এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেয় না।
অধ্যাপক পল জাঁনে (Paul Janet) বলেন, “স্বদেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য পৌরনীতির জ্ঞান খুবই জরুরি।”
৪। উন্নত জীবন লাভের জন্য : নাগরিকদের উন্নত জীবনদানের মাধ্যমে সমৃদ্ধিশালী পরিবেশ সৃষ্টি হলো বর্তমান কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের মূল ধারণা।
অ্যারিস্টটল বলেন, “মানুষের সুন্দর জীবনযাপনের জন্য রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে এবং উন্নততর জীবনবিধানের জন্য অব্যাহতভাবেই টিকে থাকবে।”
রাষ্ট্রের সৃষ্টি ও অস্তিত্বের জন্য মানুষের পক্ষে রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, আকাঙ্ক্ষা ও প্রবণতা, আচরণ ও ব্যবহারের শিষ্টতা এবং সুস্থতার জন্য পৌরনীতির পাঠ আবশ্যক।
উন্নত জীবন লাভের জন্য মূল্যবোধ, আচরণ, অভ্যাস, নৈতিকতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রভৃতি প্রয়োজন ।
নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য, শৃঙ্খলা, নিয়মনীতি ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য পৌরনীতির
জ্ঞান থাকা দরকার।
১০
পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম
৫। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য : পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
সরকারের বিভিন্ন বিভাগের গঠনপ্রণালি, ক্ষমতা ও কার্যাবলি, রাজনৈতিক দল ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী, আইন, স্বাধীনতা, নির্বাচন, জনমত, সংবিধান, বিচার বিভাগ প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা ও জ্ঞান লাভ করার জন্য পৌরনীতির পাঠ আবশ্যক।
৬। কল্যাণরাষ্ট্রের ধারণা লাভের জন্য । আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণা হলো কল্যাণরাষ্ট্র। বর্তমানে কোনো রাষ্ট্রই আর পুলিশি রাষ্ট্র নয় (Police State)।
সব রাষ্ট্রের চরিত্র হলো কমবেশি কল্যাণকামী রাষ্ট্র (Welfare State)। আর পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
যে রাষ্ট্র নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা (Basic Needs) খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি পূরণ করে উন্নত সমাজজীবনের নিশ্চয়তা বিধান করে তাকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।
কল্যাণরাষ্ট্র বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হয়, যা বাস্তবায়নে সচেতন নাগরিকরা বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে।
সুতরাং, আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও কর্মসূচি সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য পৌরনীতির পাঠ আবশ্যক।
৭। নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য : পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে নাগরিকের
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নানা দিক সম্পর্কে জানা যায়।
পৌরনীতি নাগরিকতাবিষয়ক বিজ্ঞান। নাগরিকতার সাথে জড়িত সব প্রশ্ন সম্পর্কে আলোকপাত করাই হলো পৌরনীতির উদ্দেশ্য।
অতীতে বিভিন্ন রাষ্ট্রে নাগরিক জীবনের ধরন কেমন ছিল, বর্তমানে কেমন হয়েছে এবং অতীত ও বর্তমানের শিক্ষা দিয়ে ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হওয়া উচিত তার সুস্পষ্ট ধারণা পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে জানা যায়।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাগরিকের ভূমিকা ও অবস্থান সম্পর্কে পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে জানা যায়।
৮। সুশাসন সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য : বর্তমানে পৌরনীতির সাথে সুশাসন বিষয়টি এসেছে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রব্যবস্থায় নতুন চিন্তাভাবনা এসেছে।
একটি রাষ্ট্র যদি সুশাসনের ভিত্তিতে পরিচালিত না হয় তাহলে সে রাষ্ট্র কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রদান, ক্ষমতার সুষম বণ্টন,
বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, প্রশাসনে দুর্নীতি কমানো ও গতিশীল করা, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা,
কার্যকরী আইনসভা, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয় সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।
পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে এসব বিষয়ে সম্যক জ্ঞান
লাভ করা সম্ভবপর হয়।
৯। প্রশাসনিক জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য : পৌরনীতি অধ্যয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে প্রশাসন সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা
পাওয়া যায়।
পৌরনীতি রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান দান করে। কল্যাণকামী রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত হলো জনকল্যাণমুখী প্রশাসন। আর জনকল্যাণমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য পৌরনীতির জ্ঞান আবশ্যক।
১০। গণতন্ত্রের বিকাশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য : শাসনব্যবস্থার জনপ্রিয়তার দিক থেকে সর্বাগ্রে আছে গণতন্ত্র।
এটি সবচেয়ে বহুল প্রচলিত শাসনব্যবস্থা। জনগণের শাসনব্যবস্থাই হলো গণতন্ত্র।
তাই পৌরনীতি অধ্যয়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র সম্পর্কে নাগরিকরা সচেতন হতে পারে এবং সমাজের সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারে।
যদিও পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন। তবু পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমস্যাগুলো কাটিয়ে কীভাবে গণতন্ত্রকে সুসংহত করা যায় তা জানা যায় ।
১। সুযোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য : রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে সুযোগ্য নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।
পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পর্কে জানা যায়। নেতৃত্ব কী, কীভাবে বিকশিত হয়, নেতৃত্বের সমস্যা কী কী, নেতৃত্বের গুণাবলি ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপ দরকার পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে তা জানা সম্ভব হয় ।
১২। সুষ্ঠু সমাজ গঠনের জন্য : মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে সামাজিক রীতিনীতি মেনে সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনা করা মানুষের ধর্ম।
আর সমাজে বসবাস করতে গিয়ে, সামাজিক রীতিনীতি মানতে গিয়ে মানুষকে রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি করতে হয়েছে।
রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকে থাকার অন্যতম শর্ত হলো সামাজিক শৃঙ্খলা এবং নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক। পৌরনীতি নাগরিকদের সুষ্ঠু ও সুসম্পর্কপূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে অর্থবহ ও পূর্ণাঙ্গ করে তোলে।
সামাজিক শৃঙ্খলা, রীতিনীতি, আদর্শ প্রভৃতি শিক্ষাদানের মাধ্যমে পৌরনীতি নাগরিকদের সুষ্ঠু সমাজ গঠনে সহায়তা করে।
সুতরাং, সুষ্ঠু সমাজ গঠনের শিক্ষার জন্য পৌরনীতি পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।
১৩। তুলনামূলক রাজনীতির ধারণার জন্য : পৌরনীতি তুলনামূলক রাজনীতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।
কেননা, পৌরনীতির উদ্দেশ্য হলো কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে নাগরিকরা উন্নত জীবন যাপন করবে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার,
প্রশাসন, আইন, বিচার, সংবিধান, রাজনৈতিক দল প্রভৃতি বিষয় একত্রে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই হলো তুলনামূলক রাজনীতি।
এ বিষয়ে সঠিক ও বাস্তব ধারণা লাভের জন্য পৌরনীতি পাঠ করা অত্যন্ত জরুরি
১৪। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য : পৌরনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয় নাগরিকের যাবতীয় বিষয় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ
পর্যালোচনা।
নাগরিকতার তিনটি দিক আছে- স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক। আর রাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো নাগরিকের কল্যাণ করা।
নাগরিক তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি যেমন আনুগত্য প্রকাশ করে, তেমনি রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় ।
একজন সুনাগরিকের কর্তব্য হলো রাষ্ট্রের কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বদা কাজ করা। এক্ষেত্রে নাগরিক জাতীয় কাজ ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ করে থাকে।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য পৌরনীতি পাঠ করা একান্ত জরুরি।
অতএব, সমাজ ও রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করার জন্য পৌরনীতি ও সুশাসন পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।