প্রশ্ন ॥১.০৭] বিষয় হিসেবে কেন তুমি অর্থায়ন পড়বে?

(জা.বি. ২০১৪ (পুরাতন)।

কেন তুমি অর্থায়ন পড়বে?


উত্তর : বিষয় হিসেবে অর্থায়ন পড়ার কারণ বলার আগে অর্থায়ন কি অর্থায়নের ক্ষেত্র বা পরিধি এবং এর গুরুত্ব জানতে হবে। সাধারণ অর্থে অর্থায়ন বলতে অর্থসংগ্রহ করাকে বুঝায়। ব্যাপক অর্থে, অর্থের পরিকল্পনা, সংস্থান বা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পৰ্কীয় কার্যাবলিকে অর্থায়ন বলা হয়ে থাকে ।

বিষয় হিসেবে অর্থায়ন পড়ার কারণ : প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বল্প ব্যয়ে অর্থ বা তহবিল সংগ্রহ এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য অর্থায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থায়নের ক্ষেত্র বা পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় এবং এর সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে অর্থায়ন প্রত্যক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থায়ন প্রক্রিয়া একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একটি ব্যবসায়ীর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই একেকটি অর্থায়ন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া বিভিন্ন রূপ নেয়। যেমন- পারিবারিক অর্থায়ন হলো পরিবারের আয়ের উৎস ও পরিমাণ নির্ধারণ করা, সেই আয় কিভাবে ব্যয় করলে পরিবারের সদস্যদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল হয় তা নির্ধারণ করাকে বুঝায় । সরকারি অর্থায়ন বলতে সরকারের বার্ষিক ব্যয় কোন কোন খাতে, কি পরিমাণে হবে এবং সেই অর্থ কোন উৎস হতে সংগ্রহ করা হবে তা নির্ধারণ করাকে বুঝায়। সরকারি অর্থায়নে সরকারের প্রেক্ষাপটে তার বার্ষিক ব্যয় কোন কোন খাতে, কি পরিমাণে হবে এবং সেই অর্থ কোন কোন উৎস হতে সংগ্রহ করা যাবে তা আলোচনা করা হয়। অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহ ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বলে। সমাজে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থাকে, যাদের মূল উদ্দেশ্য মানব কল্যাণ বা দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের সেবা প্রদান মুনাফার্জন নয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে এবং সেই অর্থের দক্ষ ব্যবস্থাপনারও প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে অর্থায়নের ভূমিকা হচ্ছে অর্থ সংগ্রহের উৎস চিহ্নিতকরণ এবং তার সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সেবামূলক উদ্দেশ্যকে সফল করা।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিষয় হিসেবে অর্থায়ন পড়া খুবই প্রয়োজন ।