শেখ মুজিবের নির্দেশ
উত্তর : ভূমিকা : শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা তখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। ইতোপূর্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রকাশ্যে স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছে। এহেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের আপামর জনসাধারণ শেখ মুজিবুর রহমানের দিকে আগ্রহ চিত্তে তাকিয়েছিল— তিনি কি বলেন জনগণের প্রতি শেখ মুজিব এর নির্দেশ : শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জনগণের প্রতি কতকগুলো নির্দেশ জারি করেন।
যথা-
১. বাংলার মুক্তি না আসা পর্যন্ত সকল খাজনা ও ট্যাক্স বন্ধ রাখতে হবে।
২. যানবাহন ও বন্দরের কাজ চলবে। তবে সশস্ত্র বাহিনীর চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা চলবে না ৷
৩. স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে হরতাল চলবে।
৪. ব্যাংকসমূহ প্রতিদিন মাত্র ২ ঘণ্টা লেনদেন করবে কিন্তু কোনো ব্যাংক পশ্চিম পাকিস্তানে একটি পয়সাও পাচার করতে পারবে না ।
৫. রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে আমাদের খবর ও বিবৃত্তি প্রকাশ করতে হবে। এতে বাধা দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট বাঙালি কর্মচারী কাজে যোগদান করবে না ।
৬. টেলিফোন ও টেলিগ্রাম কেবলমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই চালু থাকবে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ঐতিহাসিক দিক থেকে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশ যখন এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছিল ঠিক তখনই জাতির উদ্দেশ্যে তার ভাষণ জনসাধারণকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছিল। তার ঘোষণা অনুযায়ী বাঙালি সেদিন থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে ।