প্রশ্ন : ২৩। বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে আলোচনা কর ।অথবা, ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দাও । Briefly describe the killing of intellectuals in 1971.

বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে আলোচনা কর ।অথবা, ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দাও । Briefly describe the killing of intellectuals in 1971.

উত্তর : ভূমিকা : ১৯০১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ইতিহাসের একটি জঘন্য, নৃশংসতম ও বর্বরোচিত ঘটনা। পাক সামরিক জান্তা মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে নিশ্চিত পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণার্থে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এ যুদ্ধে বাংলার সূর্য সন্তানদের অর্থাৎ শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনবিদ, রাজনীতিবিদ প্রমুখকে সুপরিকল্পিতভাবে নিধন করা হয়। পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদদে এক শ্রেণীর দালাল এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে ।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যা :

পূর্ব পাকিস্তান বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার এ নীলনকশা প্রণয়ন করেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। অভিযোগ রয়েছে যে, হানাদার বাহিনী থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও সার্বিক সাহায্য নিয়ে তাদেরই ছত্রছায়ায় প্যারামিলিটারি রাজাকার, আল-বদর, শামস প্রভৃতি বাহিনীর সশস্ত্র ক্যাডাররা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

তারা বুদ্ধিজীবীদেরকে তাদের প্রতিপক্ষ অভ্যন্তরীণ শত্রু, ভারতীয় চর প্রভৃতি নামে চিহ্নিত করে। তাই তারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি নিরস্ত্র ও নিরীহ বাঙালি জাতির বিবেক বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রি থেকে ১৬ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকে। বুদ্ধিজীবীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ি হতে ধরে নিয়ে প্রায়শ কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে নেওয়া হতো। নিকটস্থ কোনো ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তাদের উপর নির্মম দৈহিক নির্যাতন ও বেয়োনেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হতো। অনেককেই বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করা হতো।

১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের পূর্বক্ষণে পাকবাহিনী ও তাদের মিত্ররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র বা আল-বদর সদর দপ্তরে নেওয়া হতো। ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পূর্বে বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপকভাবে হত্যা করা হয়।

বুদ্ধিজীবী হত্যা
বুদ্ধিজীবী হত্যা

মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি, মিরপুর বধ্যভূমিতে ডোবানালা, নিচু জমি ও ইটের পাঁজার মধ্যে বহুসংখ্যক মৃতদেহ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ তাদের বুকে, মাথায় ও পিঠে ছিল বুলেটের আঘাত এবং সারাদেহে বেয়োনেটের ক্ষতচিহ্ন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাঙালিকে মেধাশূন্য করার পাকিস্তানি পরিকল্পনাকেই আল-বদর, আল- শামসরা নিষ্ঠুরভাবে বাস্তবায়ন করে। উল্লেখ্য ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশ নামক প্রামাণ্য গ্রন্থের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা মোট ১,১০৯ জন। এদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষাবিদ ৯৯১ জন, সাংবাদিক ১৩ জন, চিকিৎসক ৪৯ জন, ৪২ জন আইনজীবী এবং সাহিত্যিক, শিল্পী ও প্রকৌশলী ছিলেন ১৬ জন । মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ইতিহাসে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস PDF :

দয়া করে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষন এর মধ্যে আপনাকে ডাউনলোড পেইজ এ নিয়ে যাওয়া হবে। আপনাকে নিয়ে যাওয়ার পর আপনাকে হবে এই পেইজে ডাউনলোড লিংক দেওয়া হবে তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ। আরো অন্যান্য বই গুলো নেওয়ার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে দয়া করে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষন এর মধ্যে আপনাকে ডাউনলো

১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে সংক্ষেপে

১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা অত্যন্ত ক্রুর এবং দুর্দান্ত ছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং অন্যান্য আলাদা সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মীরা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী জনগণের উপর হামলা চালিয়েছিলেন। এই হামলার সময় অনেক বুদ্ধিজীবী পুরুষ এবং মহিলা হত্যা হয়েছিলেন।

বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অনেকে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মিছিল, হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে, তারা সংগঠিতভাবে রক্ষা পেল না। মুক্তিযুদ্ধের শেষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে, বুদ্ধিজীবীদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের কার্যে মধ্যস্থতা দেয়া হয়। তবে, তারা যেমন অধিকার পেয়েছিলেন সেগুলি এখনও বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অনেক বুদ্ধিজীবী হত্যা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কিছু পরিচিত নাম হলো:

  1. মতিউর রহমান মল্লিক
  2. বেদপ্রকাশ বড়ুয়া
  3. বিশ্বেশ্বর দাস
  4. প্রণব চক্রবর্তী
  5. বুদ্ধদেব বসু
  6. অশোক কুমার সাহা
  7. মহাদেব শর্মা
  8. রাজেন্দ্র প্রসাদ দেবনাথ
  9. নির্বাচন চাকমা
  10. হরিপদ শাহ

এই তালিকা মাত্র কয়েকজন বুদ্ধিজীবীদের উদাহরণ, আরো অনেক মানুষ হত্যা হয়েছিল যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হন না, তবে তাদের ব্যক্তিগত অবদান মুক্তিযোদ্ধা সম্মানে স্মরণীয় রয়েছে।

বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল। এই হত্যার পিছনের কিছু প্রধান কারণ নিম্নে উল্লিখিত হতে পারে:

  1. রাজনৈতিক মতভেদ: মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চানোয়া গণের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতভেদ ছিল। বুদ্ধিজীবীদের অনেকে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনে সংগঠিত ছিলেন, যা পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
  2. সামাজিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ধর্মীয় ও সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের সদস্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থানের কারণে হত্যা হত।
  3. সামরিক সংঘর্ষ: মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সামরিক সংঘর্ষ ছিল সাধারণ ঘটনা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের এই অংশগ্রহণ সামরিক সংঘর্ষে নিহত হওয়ার একটি পরিকল্পনা হত।

এই কারণগুলি একাধিক সময়ে একসাথে কাজ করে বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের হত্যার পেছনে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যা জড়িত কারা?,

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাযুক্ত ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও, অবিলম্বে কিছু সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা সরকারি বাহিনীর সহায়তা ও সাথে হত্যা করেছিলেন।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরকারি হত্যা কর্মসূচিতে অংশ নেয়েছিল, আর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন উপায়ে হত্যা করেছিলেন।

এছাড়াও, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের ভিত্তিতে অনেক গোষ্ঠীবিদের মধ্যেও হিসেবে সংগঠিত হয়ে হত্যা হয়েছিল।

এই সব সন্ত্রাসী সংগঠনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিখোঁজ করে হত্যা করা, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন বা স্বাধীনতা সংগ্রামে সমর্থন প্রদান করেছিলেন।

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাবেন সকল গ্রাহক কিভাবে নিবেন? 5 GB free internet all sim| How to take 5 GB internet free 2024...

৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাবেন সকল গ্রাহক: কিভাবে নিবেন?বাংলাদেশের...

সপ্তম / ৭ম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি গাইড pdf গাইড ডাউনলোড ২০২৫| Class 7 Art & Culture Guide 2025

ভূমিকা: ৭ম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি গাইড PDF ডাউনলোড...