প্রশ্ন : ২৪ । বধ্যভূমি সম্পর্কে টীকা লিখ ।অথবা, ১৯৭১ সালের বধ্যভূমি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বধ্যভূমির তালিকা | বুদ্ধ ভূমি কি? Best Briefly discuss the massacre of 1971.

বধ্যভূমি সম্পর্কে টীকা লিখ ।অথবা, ১৯৭১ সালের বধ্যভূমি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির জন্য এক বিরাট ত্যাগ-তিতিক্ষা, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, আত্মোৎসর্গ ও সব হারিয়ে মুক্ত আকাশ, বাতাস সমৃদ্ধ বাংলাদেশ লাভের মাস। এসময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙালিদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা নির্মম হত্যাকাণ্ড পরিচালিত করে পুরো বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ।

বধ্যভূমি সম্পর্কে টীকা

১৯৭১ সালের বধ্যভূমি :

পাক হানাদার বাহিনী নির্দিষ্ট কিছু কিছু স্থানে অনেকগুলো লোককে ধরে নিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখত। ঐ স্থানকে বধ্যভূমি বলে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পূর্বক্ষণে (১৪ ডিসেম্বর) স্বাধীনতা যখন অনিবার্য হয়ে উঠে তখন পাকবাহিনী ও তাদের মিত্ররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র বা আল-বদর সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পূর্বে বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপকভাবে হত্যা করা হয়। শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নানান অত্যাচারের পর বাসে করে রায়ের বাজার (মোহাম্মদপুর), শিয়ালবাড়ি, মিরপুর প্রভৃতি বধ্যভূমি, কবরস্থান ও জল্লাদখানায় নিয়ে তাদের রক্তে রঞ্জিত করা হয়।

ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহরেও এরূপ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মৃত্যুর পর অনেকের লাশও খুঁজে পাওয়া যায় নি। স্বাধীনতার পর লাশের পর লাশের স্তুপ দেখা যায়। সেখানে অনেকের হাত-পা, চোখ বাঁধা ছিল। কারো কান, নাক, হৃৎপিণ্ড ছিল না, মুখের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।

বধ্যভূমি সম্পর্কে টীকা লিখ
বধ্যভূমি সম্পর্কে টীকা লিখ

এভাবেই বুদ্ধিজীবীদের রক্তগঙ্গা বইয়ে যায়। উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাঙালিকে মেধাশূন্য করার পাকিস্তানি পরিকল্পনাকেই আল-বদর, আল-শামসরা নিষ্ঠুরভাবে বাস্তবায়ন করে। এ হত্যাকাণ্ডের হোতাদের মধ্যে অনেকের নাম শোনা যায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজো নিরূপিত হয় নি।

তাদের কোনো পূর্ণাঙ্গ তালিকাও পাওয়া যায় নি। ‘বাংলাদেশ’ নামক প্রামাণ্য গ্রন্থের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা মোট ১,১০৯ জন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকিস্তানি হানাদাররা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের এমনি নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যায় বাংলাদেশে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তারা ছিল দেশের মস্তিষ্ক, বিবেক ও শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের হত্যার ফলে দেশে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অফিসিয়াল কাজকর্ম প্রভৃতি সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা বেঁচে থাকলে দেশ ও জাতি আরো সমৃদ্ধ হতো।

বধ্যভূমি সম্পর্কে টীকা লিখ

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস PDF :

দয়া করে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষন এর মধ্যে আপনাকে ডাউনলোড পেইজ এ নিয়ে যাওয়া হবে। আপনাকে নিয়ে যাওয়ার পর আপনাকে হবে এই পেইজে ডাউনলোড লিংক দেওয়া হবে তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ। আরো অন্যান্য বই গুলো নেওয়ার জন্য

বধ্যভূমি Mean

“বধ্যভূমি” বা “কিলিং ফিল্ড” হলো একটি শত্রুতার ক্ষেত্র যেখানে মানুষ হত্যা হয় এবং ধর্মীয়, রাজনৈতিক বা আদালতিক কারণে মানুষের জীবন নষ্ট হয়। এই শত্রুতার ক্ষেত্র সম্পর্কে একটি টীকা লিখতে যে বিষয়গুলি আলোচনা করা উচিত সেগুলি হলো:

  1. মানুষের মানবিক অধিকার ও মানবতার নিয়মাবলীর বিপর্যস্ত আহবান: বধ্যভূমির ক্ষেত্রে মানুষের মানবিক অধিকার ও মানবতার নিয়মাবলী পূর্ণরূপে লঙ্ঘন হয়। এটি মানবিক সম্মানের বিপর্যস্ত আহবান এবং মানুষের জীবনের অপ্রত্যাশিত প্রসঙ্গের উত্সের কারণ হতে পারে।
  2. অপরাধী সংগঠনের বধ্যভূমি নিয়ন্ত্রণ: অপরাধী সংগঠনগুলি বধ্যভূমি অধীনে স্থায়ী হওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে পারে, যা সাধারণত সরকারের কর্তৃপক্ষের অসম্পূর্ণ বা অবহেলায় হওয়ার কারণে ঘটে।
  3. বধ্যভূমির অভাবে আইনের প্রতিষ্ঠান: অধিকাংশ বধ্যভূমি ঘটনায় আইন এবং বিচারের অভাব মানুষের জীবন নিরাপদ করার দিকে গাড়িতে পড়ে। এই অভাব আইন এবং বিচারের আইনিক নিষ্পত্তির কারণে অতিরিক্ত অপরাধী সৃষ্টি করে এবং বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন ব্যবস্থা হানি পেতে পারে।
  4. সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিনিয়ম অস্থিরতা: বধ্যভূমির ক্ষেত্রে সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিনিয়ম স্থায়ী নয়, যা সমস্যার কারণ হতে পারে। এই অস্থিরতা আর্থিক অসম্পূর্ণতা, অবিলম্বে অভিযোগ এবং অন্যান্য সামাজিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করতে পারে।

বধ্যভূমির এই বিশেষ প্রসঙ্গে মানুষের মানবিক সম্পদের ওপর সংকট তৈরি হয় এব

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বধ্যভূমির তালিকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বধ্যভূমির তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. মুজিবনগর শহর: মুজিবনগর একটি সহর ও দক্ষিণ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। এই শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বিপ্লবী সৈন্যের নেতৃত্বে ব্যবস্থিত ছিল।
  2. ঢাকা শহর: ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী, স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র ছিল। এখানে বিভিন্ন বিদ্রোহ, আন্দোলন এবং সংঘর্ষ ঘটে।
  3. চট্টগ্রাম শহর: চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। এখানেও বিভিন্ন প্রকার বিদ্রোহ, আন্দোলন এবং সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
  4. খুলনা শহর: খুলনা একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল যেখানে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন ও বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
  5. সিলেট শহর: সিলেট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকেন্দ্র হিসাবে কাজ করে, এবং এখানেও বিভিন্ন বিদ্রোহ, আন্দোলন ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
  6. রাজশাহী শহর: রাজশাহী একটি প্রধান শহর ছিল যেখানে বিভিন্ন বিদ্রোহ, আন্দোলন এবং সংঘর্ষ ঘটে।

এই ছয়টি শহরের সাথে একাধিক অন্যান্য স্থানগুলির বধ্যভূমি ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে। এগুলি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সমর্থন এবং সুরক্ষা প্রদান করতে পারে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির সম্মেলনে ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি কোথায় অবস্থিত?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি মুজিবনগর অবস্থিত। মুজিবনগর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এটি ঢাকা ও রাজশাহী শহরের মধ্যে অবস্থিত একটি প্রায় ৩০ বর্গমাইলের একটি সাবার্বন্দর জেলা। মুজিবনগরের অভিযানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গতি প্রবল এবং এই অঞ্চল স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির একটি কেন্দ্র হিসাবে কর্তিত্ব পালন করে। মুজিবনগরের এই অঞ্চলে অত্যন্ত গভীরভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের জয়ের ভাবনা ও আন্দোলনের ঐতিহাসিক পুরোতন অবস্থান রয়েছে। এটি একটি স্থায়ী স্মৃতি এবং ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে মর্যাদায়িত করা হয়েছে।

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাবেন সকল গ্রাহক কিভাবে নিবেন? 5 GB free internet all sim| How to take 5 GB internet free 2024...

৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট পাবেন সকল গ্রাহক: কিভাবে নিবেন?বাংলাদেশের...

সপ্তম / ৭ম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি গাইড pdf গাইড ডাউনলোড ২০২৫| Class 7 Art & Culture Guide 2025

ভূমিকা: ৭ম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি গাইড PDF ডাউনলোড...