প্রয়োজন, অভাব ও চাহিদা :
এ প্রসঙ্গে Philip Kotler বলেছেন, “Need is a state of falt deprivation.” মানুষের প্রয়োজনগুলো পর্যায়ক্রমে আসে। যখন কোন প্রয়োজন পূরণ হয় না তখন মানুষ বিকল্প পথ খুঁজে কিংবা প্রয়োজন পরিহার করে। শিল্পোন্নত দেশে মানুষ পণ্য উন্নয়নের মাধ্যমে প্রয়োজন মিটাতে চায়। কিন্তু অনুন্নত দেশে বর্তমান বস্তু নিয়েই প্রয়োজন মিটায় বা প্রয়োজনের তাগিদ পরিহার করে ।
প্রয়োজন, অভাব ও চাহিদা সম্পর্কে নিম্নে ধারণা
(ক) প্রয়োজন : প্রয়োজন হল এ ধরনের একটি মানসিক স্তর, যে স্তরে মানুষের কাছে যে প্রয়োজন আছে এ ধরনের পণ্য বা সেবা থেকে নিজেকে বঞ্চিত বলে মনে হয়। আর মানুষের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করেই বিপণন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। মানুষের বহু জটিল প্রয়োজন রয়েছে, যা খাদ্য কাপড় থেকে শুরু করে সামাজিক মর্যাদা পর্যন্ত প্রসারিত।
(খ) অভাব : প্রয়োজন ভাবে বিমূর্ত অনুভূতি সে তুলনায় অভাব অনেকটাই মূর্ত। প্রয়োজন যখন সমাজ সংস্কৃতি এবং ব্যক্তির স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব দ্বারা আবর্তিত হয়ে বাস্তবে প্রকাশ পায় তখন তাকে অভাব বলে ।
Philip Kotler এবং Gary Armstrong এর মতে, মানুষের প্রয়োজন সংস্কৃতি ও ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব দ্বারা যে আকৃতি গ্রহণ করে তাই অভাব। বিষয়টি উদাহরণের সাহায্যে পরিষ্কার করা সম্ভব।
পাকিস্তানের একজন ব্যক্তি ক্ষুধার্ত হলে রুটি, যুক্তরাষ্ট্রের একজন কোক, বার্গার কিন্তু বাংলাদেশের একজন মানুষ ক্ষুধার্ত হলে ভাত, মাছ খাওয়ার অভাব অনুভব করে। এজন্য বিপণনকারীকে যথাযথভাবে অভাব পূরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(গ) চাহিদা : সাধারণ অর্থে কোনকিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে চাহিদা বলে। সীমিত সম্পদের কারণে মানুষকে অসীম অভাব থেকে পূরণ করার মত কিছু অভাবকে নির্বাচন করতে হয়। যেসব অভাব পূরণ করা প্রয়োজন, যেগুলো পূরণের মত অর্থ আছে এবং ব্যক্তির অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা আছে, সে অভাবগুলোই হচ্ছে চাহিদা ।
চাহিদার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে Philip Kotler এবং Gary Armstrong বলেছেন, “ক্রয়ক্ষমতা দ্বারা সমর্থিত মানুষের অভাবগুলোই হচ্ছে চাহিদা।”