জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্বরেকর্ড
World record for singing national anthem of Bangladesh 2014




সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আজ সম্পন্ন হলো বাংলাদেশের ন্বাধীনতা দিবসের “লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা” বিশেষ উদ্যোগটি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নতুন এক আনুষ্ঠানিক বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টির জন্য সম্পন্ন হলো জাতীয় চেতনার উদ্বুদ্ধ এই উদ্যোগটি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান সহ সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
সকাল ১১ টায় উপস্থিত সকলে সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিবেশনায় দেশবরেণ্য এবং খ্যাতনামা শিল্পীগণের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয়েছিলো এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সকাল ০৮:৪৫ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলেছে। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝেই গাওয়া হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।
আয়োজনটিতে মেশিনে গণনা অনুযায়ী মানুষের অংশগ্রহনের সংখ্যা ছিলো ২৫৪,৬৮১ জন। আয়োজকদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেস কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সকল শর্ত সুচারুরূপে পালিত হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক গণনার বাইরেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো ৩২৫,০০০ এর অধিক মানুষ।
সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনাকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ হতে অংশগ্রহন করেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, মীতা হক, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, রাইসা আহমেদ লিসা, তপন মাহমুদ, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, লিরি ইসলাম, ফাতেমা তুজ জোহরা, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, তিমির নন্দী, বুলবুল মহলানবীশ, আব্দুল জব্বার, মহিউদ্দীন চৌধুরী, ইয়াকুব আলী খান, খায়রুল আনাম শাকিল, শাহীন সামাদ, সুজিত মোস্তফা, সুমন চৌধুরী, ফরিদা পারভীন, চন্দনা মজুমদার এবং ফকির আলমগীরের মতো দেশ বরেণ্য শিল্পীরা।
“লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা” আয়োজনটির প্রধান উদ্যোক্তা ছিলো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
অনুষ্ঠানটিতে জাতীয় সঙ্গীতের প্রমিত পরিবেশন নিশ্চিত করতে পূর্বেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি প্রস্তুতকৃত, গীত জাতীয় সঙ্গীতের একটি অডিও সিডি পৌছে দেওয়া হয়েছিলো। এর উপরে ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠানগুলো মহড়া পরিচালনা করেছে। সঠিক সুরে পূর্ণাঙ্গ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার প্রক্রিয়া সারা দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার ১২১,৬৫৩ জনের অংশগ্রহনে পূর্ববর্তী রেকর্ডটি গড়েছিলো ভারতে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার। বাংলাদেশের এই উদ্যোগটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছে কিনা তা গিনেস নিশ্চিত করবে আয়োজনের এক সপ্তাহ পরে। রেকর্ডটি “সবচেয়ে বেশি মানুষের একই সাথে গাওয়া জাতীয় সঙ্গীত” শাখায় নথীভূক্ত হবে।
৯ এপ্রিল, ২০১৪ – সর্বাধিক মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এই আয়োজনে ২৬শে মার্চ, ২০১৪ তে ২৫৪,৫৩৭ জন মানুষ একসাথে জাতীয় সংগীত গেয়েছিল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। ৯ এপ্রিল, ২০১৪ GUINNESS WORLD RECORDS কর্তৃপক্ষ এই স্বীকৃতি প্রদান করে।