ক্রেতা সম্পর্কের পরিবর্তনশীল প্রকৃতি :
উত্তর : ভূমিকা : ক্রেতাদের সাথে কোম্পানির সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে ক্রেতাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। পূর্বে কোম্পানিগুলো গণ বাজারজাতকরণের উপর গুরুত্ব দিলেও এখন নির্বাচিত ক্রেতার সাথে সরাসরি ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। নিম্নে ক্রেতাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা আলোচনা করা হলো :
১. অধিকতর গভীর ও আন্তক্রিয়াশীল সম্পর্ক : বর্তমানে কোম্পানিগুলো নির্বাচিত ক্রেতাদের সাথে গভীর ও অর্থপূর্ণ উপায়ে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। বর্তমানে একমুখী গণযোগাযোগের পরিবর্তে দ্বি-মুখী যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন ও উন্নয়নের ফলে গভীর ও আন্তক্রিয়াশীল সম্পর্ক স্থাপন সহজ হয়েছে। নতুন যোগাযোগের হাতিয়ার ব্যবহার করে বাজারজাতকারী সম্পর্কের চর্চা
করতে পারছে।
২. অধিকতর সতর্কতার সাথে নির্বাচিত ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক : বর্তমানে কোম্পানি সকল ক্রেতার সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি না করে নির্বাচিত ও অধিক লাভজনক ক্রেতাদের সাথে সৃষ্টির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। একে নির্বাচিত সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা বলে । বর্তমানে অনেক কোম্পানি ক্রেতার মুনাফা যোগ্যতা বিশ্লেষণ করে কম লাভজনক ক্রেতা বাদ দিয়ে অধিকতর লাভজনক ক্রেতা বেছে নিচ্ছে। লাভজনক ক্রেতা বণ্টকরার পর কোম্পানি আকর্ষণীয় অর্পণ সৃষ্টি করে তাদের আনুগত্য অর্জন করতে পারে।
৩. ভোক্তামূখী বাজারজাতকরণ : প্রযুক্তির কারণে বর্তমানে অনেক কোম্পানি ভোক্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করছে। এতে বাজারজাতকরণ বিকশিত হচ্ছে। টেলিফোন, ই-মেইল, ভয়েজ মেইল প্রভৃতির কল্যাণে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন করা সহজ হচ্ছে । ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই পণ্য ভোক্তার সামনে চলে আসছে ফলে ভোক্তা পণ্য পছন্ত করে অর্ডার দিয়ে পণ্য মূল্য পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারছে ঘরে বসেই।
উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ক্রেতা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে বাজারজাতকরণ সফলতার মাধ্যমে তার কাজ সম্পাদান করতে পারছে।